১৯ মে ২০২৪, ০২:৩৬ অপরাহ্ন, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছে ফিলিস্তিনের যোদ্ধারা। তারা গাজার আশপাশের ইসরায়েলি শহর দখলের চেষ্টা করছে। কিছু এলাকায় গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সাহায্যের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন ইসরায়েলের নাগরিকরা। তারা দেশটির জরুরি সেবা নম্বরে কল করে সহায়তার জন্য কান্নাকাটি করছেন। বলছেন, ঘরবাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হচ্ছে।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কিবুতজিম শহরে ব্যাপক সংঘর্ষ হচ্ছে। এর মধ্যে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে দেশটির সামরিক বাহিনী। তবে শহরের রাস্তায় প্রয়োজনের তুলনায় সেনা সদস্যের উপস্থিতি কম। কল করেও সহায়তা না পেয়ে বাসিন্দারা নিজেদের মতো শহর ছাড়ার চেষ্টা করছেন।
কিবুতজ বেইরির এক বাসিন্দা চ্যানেল টুয়েলভ নিউজকে জানান, তার বাবাকে হামাসের যোদ্ধারা দক্ষিণ সীমান্ত থেকে অপহরণ করে গাজা উপত্যকায় নিয়ে গেছে। তার কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। ইসরায়েল এসব যোদ্ধাদের ‘সন্ত্রাসীরা’ বলে উল্লেখ করেছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে ওফাকিম এলাকায় একটি বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে দেশটির সেনাবাহিনী। সেখানে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে রেখেছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছে ইসরায়েলি বাহিনী।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট হামলা শুরু করে হামাস। হামলার প্রথম ২০ মিনিটেই ৫ হাজার রকেট ছোড়ার কথা জানিয়েছে হামাস। এসব হামলায় ইসরায়েলের ভেতরে ৪০ জন নিহত হয়েছে।
হামাসের হামলার পরপরই গাজায় পাল্টা বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রায় ২০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এ সংঘাতের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে কাতার। দেশটি উভয় পক্ষকে সংযত হয়ে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।